পেটের মেদ কমানোর উপায়় কার্যকারী উপায়টি জেনে রাখুন

শরীর মোটা হলে চলা-ফেরায় কষ্ট হয় সঙ্গে নষ্ট হয় সৌন্দর্য। অনেকে আছেন খুব বেশি মোটা না কিন্তু পেটে অনেক মেদ কিংবা দেহের কিছু কিছু স্থানে মেদ জমায় খুবই অস্বস্তি বোধ করেন।

পেটের মেদ কমানোর কর্যাকর উপায়

কোনো ভালো পোশাক পড়লেও ভালো লাগে না। শরীরের এই বাড়তি মেদ কিভাবে দুর করা যায় তার কয়েকটি উপায় আজ দেয়া হলো।

প্রতিদিনের সকালটা শুরু হোক লেবুর সরবত দিয়ে


এই পদ্ধতি পেটের মেদ কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী ১টি উপায়। ১ গ্লাসে হালকা গরম পানি নিয়ে তাতে লেবু চিপে সরবত করে সঙ্গে একটু লবণ মিশিয়ে নিন।

ইচ্ছে হলে একটু মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু চিনি মিশাবেন না। প্রতিদিন সকালে পানীয়টি পান করুন। এই পানীয় আপনার বিপাক প্রক্রিয়া বাড়িয়ে পেটের মেদ কমায়।

সাদা ভাত কম খান অথবা কিছুদিনের জন্য ছেড়ে দিন সাদা চালের ভাত খাওয়া।


সাদা চালের ভাতের বদলে বিভিন্ন গম জাতীয় শস্য যুক্ত করে নিন আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়। তাছাড়া লাল চালের ভাত, গমের রুটি, ওটস, অন্যান্য শস্য যুক্ত করে নিতে পারেন।

চিনি জাতীয় খাবার থেকে দূরেই থাকুন অর্থাৎ চিনিকে না বলুন।


এছাড়া মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন মিষ্টি, চকলেট, আইসক্রিম, ফিরনী, সেমাই ইত্যাদি থেকে কিছুদিনের জন্য বিদায় নিয়ে নিন।

উচ্চ তেলযুক্ত খাবার এবং কোল্ড ড্রিঙ্কসগুলো শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চর্বি জমিয়ে রাখে।


যেমন আমাদের পেট কিংবা উরু। সুতরাং বুঝেই ফেলেছেন যে এই খাবারগুলো তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে।
আরো পড়ুন: 

প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন যদি আপনি আপনার পেটের মেদ কাটিয়ে উঠতে চান তবে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান


আপনার শরীরের বিপাকের হার বাড়ানোর পাশাপাশি আপনার শরীরের বিষাক্ত উপাদান গুলোকে দূর করে দিবে। তাই পানিকে প্রাকৃতিক ক্লিঞ্জার বলা হয়।

১.) কাঁচা রসুনের কয়েক কোয়া সকাল বেলা চুষে খান। তারপরে লেবুর সরবত পান করুন। এই চিকিৎসাটি আপনার ওজন কমানোর জন্য সাহায্য করবে এবং শরীরের রক্ত প্রবাহ সহজ করবে।

২.) যতদিন পেটের মেদ না কমবে ততদিন নন-ভেজ খাদ্য অর্থাৎ মাংস, মাছ, ডিম, দুধ বাদ দিতে হবে। তবে মাছের টুকরোর চামড়া ফেলে খাওয়া যেতেই পারে।

৩.) আপনার খাদ্য তালিকাটি ফল আর সবজি। প্রতিদিন সকাল এবং বিকাল এই দুই সময়ে ফল ও সবজি খান। তবে এক্ষেত্রে পানি জাতীয় ফল বাছাই করুন।

এই অভ্যাসটি আপনার দেহে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজলবণ এর ঘাটতি পূরণ করবে।

৪.) ঝাল খাবার খান। অবাক হচ্ছেন? অবাক হবেন না। ঝাল খাবেন কিন্তু ঝাল গুলো আসবে দারচিনি, আদা, গোলমরিচ এবং কাঁচামরিচ থেকে।

এগুলো রান্নায় ব্যবহার করুন। এই মশলা স্বাস্থ্যকর। এগুলো শরীরের ইনসুলিন সরবরাহ বাড়ায় এবং রক্তের সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। তাই এগুলো ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও বেশ উপকারী।

সবকিছু করার পরেও আপনাকে যেটা করতে হবে তাহলো ব্যায়াম।

মেদ কমাতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। শরীরকে ঠিক রাখতে প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করতে হবে।

অনেকে মনে মনে ভাবছেন সব খাবারই নিষিদ্ধ। কিন্তু সুন্দর ও সুস্থ দেহ পেতে হলে কিছুটা তো সহ্য করতেই হবে। এছাড়াও দিনে ৩-৪ লিটার পানি পান করতে হবে।
আরো পড়ুন: 

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
নবীনতর পূর্বতন